-->
ইলেক্ট্রনিক্স

ইলেক্ট্রনিক্স


তড়িৎ বিদ্যা (ইংরেজি Electronics ইলেকট্রনিক্‌স্‌) তড়িৎ প্রকৌশলের একটি শাখা যেখানে ভ্যাকিউম টিউব, গ্যাস অথবা অর্ধপরিবাহী যন্ত্রাংশের মধ্য দিয়ে ইলেক্ট্রনের প্রবাহ, সীমাবদ্ধতা, ব্যবহারিক আচরণ ও প্রক্রিয়া আলোচিত হয়। ১৯০৪ সালে জন অ্যামব্রোস ফ্লেমিং দুইটি তড়িৎ ধারক বৈশিষ্ট সম্পূর্ণ বদ্ধ কাচের এক প্রকার নল (vacuum tube) উদ্ভাবন করেন ও তার মধ্য দিয়ে একমুখী তড়িৎ পাঠাতে সক্ষম হন। তাই সেই সময় থেকে তড়িৎ বিদ্যার শুরু হয়েছে বলা যায়।

১. বেসিক ইলেক্ট্রনিক্স প্রশ্ন
২. ইলেক্ট্রনিক্স শুরু করবার আগের সতর্কতা শিক্ষা
৩. ব্রেডবোর্ড/প্রজেক্ট বোর্ড
৪. লজিক গেইট, র‍্যাম ও ডিজিটাল ইলেকট্রনিক্স
৫. সার্কিট ব্রেকার
৬. গ্যাং, ট্রিমার ও ভেরিয়েবল
৭. অডিও এম্প
৮. মাইক্রোওয়েভ ওভেন
৯. গ্রাউন্ড কি
১০. অপারেশনাল এমপ্লিফায়ার
১১. ট্রান্সফরমার
১২. ভোল্টেজ রেগুলেটর কি
১৩. পিসিবি
১৪. রীলে
১৫. আইসি’র পিন
১৬. সোল্ডারিং
১৭. ডায়োড, ট্রানজিস্টর
১৮. ডায়োড
১৯. রেগুলেটেড পাওয়ার সাপ্লাই
২০. পাওয়ার ট্রান্সফরমার
২১. লাইট ইমিটিং
২২. ‎‎রেকটিফায়ার ফিল্টারিং
==
২৩. সেলফোন চার্জার
২৪. রেগুলেটর
২৫. সেমিকন্ডাকটর ডায়োড/ক্রিস্টাল ডায়োড
২৬. পিএন জাংশন
২৭. সেমিকন্ডাকটর
২৮. সোল্ডারিং
২৯. ইলেকট্রনিক্স সম্পর্কে প্রাথমিক জ্ঞান
৩০. ভোল্টেজ, কারেন্ট, পাওয়ার ফ্যাক্টর
৩১. মাল্টিমিটার দিয়ে ট্রানজিস্টর এর বেজ, ইমিটার ও কালেক্টর লেগ বের করা
৩২. রেসিস্টর চেনার খুটিনাটি তথ্য
৩৩. ইলেক্ট্রনিক্স
৩৪. রেজিস্টর এর কথকতা
৩৫. রেজিস্টর
৩৬. ‎‎ডিসি পাওয়ার 
তড়িৎ প্রকৌশল প্রধানত ইলেকট্রনিক বর্তনীর নকশা প্রণয়ন এবং পরীক্ষণের কাজে ব্যবহৃত হয়। ইলেকট্রনিক বর্তনী সাধারণত রেজিস্টর, ক্যাপাসিটর, ইন্ডাক্টর, ডায়োড প্রভৃতি দ্বারা কোন নির্দিষ্ট কার্যক্রম সম্পাদন করার জন্য তৈরি করা হয়। বেতার যন্ত্রেরটিউনার যেটি শুধুমাত্র আকাংক্ষিত বেতার স্টেশন ছাড়া অন্য গুলোকে বাতিল করতে সাহায্য করে, ইলেকট্রনিক বর্তনীর একটি উদাহরণ। পাশে আরেকটি উদাহরনের (নিউমেটিক সংকেত কন্ডিশনারের ) ছবি দেওয়া হলো।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে তড়িৎ প্রকৌশল রেডিও প্রকৌশল বা বেতার প্রকৌশল নামে পরিচিত ছিল। তখন এর কাজের পরিধি রাডার, বাণিজ্যিক বেতার (Radio) এবং আদি টেলিভিশনে সীমাবদ্ধ ছিল। বিশ্বযুদ্ধের পরে যখন ভোক্তা বা ব্যবহারকারী-কেন্দ্রিক যন্ত্রপাতির উন্নয়ন শুরু হল, তখন থেকে প্রকৌশলের এই শাখা বিস্তৃত হতে শুরু করে এবং আধুনিক টেলিভিশন, অডিও ব্যবস্থা, কম্পিউটার এবং মাইক্রোপ্রসেসর এই শাখার অন্তর্ভুক্ত হয়। পঞ্চাশের দশকের মাঝামাঝি থেকে বেতার প্রকৌশল নামটি ধীরে ধীরে পরিবর্তিত হয়ে দশকের শেষ নাগাদ ইলেকট্রনিক্‌স নাম ধারণ করে।

উইলিয়াম ব্র্যাডফোর্ড শকলি, জন বারডিন এবং ওয়াল্টার হাউজার ব্র্যাটেইন একসাথে যৌথভাবে ট্রানজিস্টর উদ্ভাবন করেন। ১৯৪৮ সালে ট্রানজিস্টর উদ্ভাবন ও ১৯৫৯ সালে সমন্বিত বর্তনী (integrated circuit or IC) উদ্ভাবনের আগে ইলেক্ট্রনিক বর্তনী তৈরি হতো বড় আকারের পৃথক পৃথক ভ্যাকিউম টিউব যন্ত্রাংশ দিয়ে। এই সব বিশাল আকারের যন্ত্রাংশ দিয়ে তৈরি বর্তনীগুলো বিপুল জায়গা দখল করত এবং এগুলো চালাতে অনেক শক্তি লাগত। এই যন্ত্রাংশগুলোর গতিও ছিল অনেক কম। অন্যদিকে সমন্বিত বর্তনী বা আই সি অসংখ্য (প্রায়ই ১০ লক্ষ বা এক মিলিয়নেরও বেশি) ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র তড়িৎ যন্ত্রাংশ, যাদের বেশিরভাগই মূলত ট্রানজিস্টর দিয়ে গঠিত হয়। এই যন্ত্রাংশগুলোকে একটি ছোট্ট পয়সা আকারের সিলিকন চিলতে বা চিপের উপরে সমন্বিত করে সমন্বিত বর্তনী তৈরি করা হয়। বর্তমানের অত্যাধুনিক কম্পিউটার বা নিত্য দিনের প্রয়োজনীয় ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রপাতি সবই প্রধানত সমন্বিত বর্তনী বা আই সি দ্বারা নির্মিত।

☞ এই পোষ্ট সম্পর্কে যদি আপনার কোন প্রশ্ন☞জিজ্ঞাসা☞সমস্যা☞তথ্য জানার থাকে তাহলে আপনি☞কমেন্ট করলে আপনাকে আমরা প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সাহায্য করার চেষ্টা করব☞☞☞ "ইলেক্ট্রনিক্স"

Post a Comment

যোগাযোগ ফর্ম

Name

Email *

Message *